More News

জেনে নিন আপনার অন্তর্বাসের সঠিক সাইজ ও মাপ Find out the correct size and size of your bra panties

আমরা সচেতনভাবেই আমাদের প্রয়োজনে অন্তর্বাস পরে থাকি। তারপরেও এটা সত্য যে ৮৫% নারী ভুল সাইজের অন্তর্বাস (বক্ষবন্ধনী/Bra) ব্যবহার করেন! তারা হয়তো পিছনের অংশ খুব বড় এবং কাপ (সামনের অংশ) খুব ছোট সাইজের পরছেন। যদিও বক্ষবন্ধনীর গড় সাইজ বলা হচ্ছে ৩৬C, সত্যিকার অর্থে এই সাইজের ব্রা নারী বেশি ক্রয় করেন বলে এ রকম একটি তথ্য জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যে সকল নারী গড় ৩৬C সাইজের ব্রা পরেন তাদের বেশিরভাগের সত্যিকার সাইজ দরকার ৩০E এর কাছাকাছি কোনো সাইজ।

ব্রা সাইজ কিভাবে নির্দেশ করা হয়? অনেকে মনে করে ব্রা সাইজ দুই ভাগের সমন্বয়ে হিসাবযোগ্য– একটি সংখ্যা এবং একটি বর্ণমালা। সংখ্যা দ্বারা বন্ধনীর সাইজ এবং বর্ণমালা দ্বারা কাপ সাইজ নির্দেশিত হয়। অনেক মানুষ-ই জানেন না যে কাপ সাইজ বন্ধনী সাইজের আনুপাতিক, সুতরাং যেকোনো D কাপ-ই সব সাইজের জন্য সমান নয়।
৩২D বাস্তবে ৩৪C অথবা ৩৬B এর কাপের সমান, কিন্তু ছোট বন্ধনী যুক্ত। ৩৮F সাইজ এর চেয়ে ২৮F সাইজ বরাবর পাঁচ সাইজ ছোট– তবে এটা এত্ত বড় পার্থক্য নয়! আপনি যদি হালকা-পাতলা গড়নেরও হন, হয়তো আপনার কাপ সাইজ বড় লাগতে পারে, যদিও আপনার স্তন অন্য নারীদের স্তনের তুলনায় বড় দেখা না যায়।
উচা-লম্বা নারীরও ছোট সাইজের বক্ষবন্ধনী প্রয়োজন হতে পারে। বক্ষবন্ধনীর সাইজ পাঁজর এবং শারীরিক ওজনের ওপর নির্ভরশীল। শরীরের ওজন অল্প কয়েক কেজি কমলে/বাড়লে কামিজ, সেমিজসহ অন্য কাপড়ের মাপ পরিবর্তন করলেও ব্রা এর সাইজ পরিবর্তন করতে অনেকের গাফলতি দেখা যায়।

একজন নারী অনেকদিন একই সাইজের ব্রা পরলে সে সাইজে তিনি অভ্যস্ত হয়ে যান, ফলে সাইজ তার উপযোগী না হলেও তিনি এতে অস্বস্তি বোধ করেন না এবং ভুল সাইজটি তার কাছে স্বাভাবিক মনে হতে থাকে। আপনি যদি আপনার জন্য সত্যিকারের ব্রা সাইজ জানতে চান তাহলে নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করুন।

কিনতে ও বিশদ জানতে ক্লিক করুন -
লিংক ১
লিংক ২
লিংক ৩

কাপ সাইজগুলো হচ্ছেঃ AA, A, B, C, D, DD, E, F, FF, G, GG, H, HH, J, JJ, K, KK, L, LL
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
যদি: ব্যান্ডের সাইজের মাপ (২৮+৪=) ৩২
এবং: কাপের সাইজের মাপ ৩৫
বিয়োগ করে পাই: ৩৫-৩২=৩, অর্থাৎ ‘সি’
তাহলে, স্তন বা ব্রার সাইজ হবে ‘৩২সি’
পার্থক্য: কাপ সাইজ:
০”-১/২” AA
১/২”- ১” A
২” B
৩” C
৪” D
৫” DD or E
৬” DDD or F
৭” G
৮” H
৯” I
১০” J
A = ছোট
B = মাঝারি
C = বড়
D = বেশি বড়
E = অনেক বেশি বড়

উপরের পদ্ধতিতে যেসকল ব্রা আপনার সাইজের মনে হলো তা ট্রায়াল দিয়ে দেখতে পারেন কোন সাইজ আপনার জন্য আরামদায়ক। আপনাকে কয়েক সাইজের ব্রা পরিধান করে দেখতে হতে পারে, এমনকি ভিন্ন কোম্পানির কিংবা ডিজাইনের ভিন্নতার কারণে একই সাইজ লিখিত থাকলেও তা আপনার উপযোগী ব্রা নাও হতে পারে। কারণ কোম্পানি এবং ডিজাইন বেধে একই সাইজের ব্রা ছোট বড় লাগতে পারে।
ব্রা পরার আগে কাধেঁর ফিতাটি হয়তো কিছুটা দীর্ঘ করে নিতে হবে। দুই বাহু ফিতার ভিতর ঢুকিয়ে সামনের দিকে একটু ঝুকতে হবে তাহলে স্তন দুটি ব্রা কাপের ভিতর ঠিক মত প্রবেশ করবে। এবার বন্ধনী ফিতাটির বড়/শেষ দিকের হুকের সাথে হুক লাগান। চিন্তার কিছু নেই এটা আপনি আপনার নিজস্ব ট্রিকস ব্যবহার করে বাঁধতে/হুক লাগাতে পারেন। তবে যদি আপনি ছোট আকারের বন্ধনী পছন্দ করেন তাহলে হয়তো বন্ধনী ফিতাটি টেনে বাড়াতে হাবে।
সামনের দিকে ঝুকে আপনার আন্ডারওয়্যার কিংবা সালোয়ার পরে নিন যেন স্তন ব্রা কাপের মাঝে সব পাশ থেকে আরামদায়ক ভাবে বসে যেতে পারে। এজন্য প্রয়োজনে ব্রা পরার পর কাপের দুই পাশ থেকে স্তনদ্বয় মাঝের দিকে চেঁপে দিতে পারেন।
এবার আপনার ব্রা এর কাঁধের ফিতাটি প্রয়োজনীয় দৈর্ঘ্য সমন্বয় করে নিতে পারেন যেন বেশি টাইট হয়ে শরীরে দেবে না থাকে অথবা ঢিলা হয়ে কাঁধ থেকে পিছলে না পড়ে।

কসমেটিকস্‌ থেকে হতে পারে অ্যালার্জি allergies can be from cosmetics


বিশেষ করে মেয়েদের দৈনন্দিন জীবন কসমেটিক্স ছাড়া যেন প্রায় অচল। না চাইলেও কিছু না কিছু কসমেটিক্স আমাদের ব্যবহার করতে হয়। তবে কখনো কখনো এই কসমেটিক্স থেকে হয়ে যায় অ্যালার্জি। প্রসাধনীর ছোঁয়ায় আমেজ যতটুকু তার চেয়েও বেশি হচ্ছে চমকের ছোঁয়া। কিন্তু এ প্রসাধনী ব্যবহারেও আছে নানা সমস্যা। বাজারে বিভিন্ন ধরনের যে প্রসাধন সামগ্রী পাওয়া যায় তা থেকে সৃষ্টি হতে পারে ত্বকের প্রদাহ, হতে পারে অ্যালার্জি। আসুন এর করণ ও প্রতিকার জেনে নিই।

প্রসাধনীজনিত প্রদাহ মূলত তিন ধরনের।
১. প্রাথমিক উত্তেজনাপ্রসূত,
২. সালোক সংবেদনজনিত,
৩. অ্যালার্জিজনিত।

কসমেটিক্স থেকে অ্যালার্জি কেন হয় :
প্রথমেই আসা যাক নেইল পলিশের কথায়। নেইল পলিশে থাকে সালফেনোমাইড এবং ফরমালডিহাইড রেজিন, যা ব্যবহারে গলায় এমনকি চোখের পাতায়ও প্রদাহের সৃষ্টি হতে পারে। আবার অনেকেরই অভ্যাস আছে নেইল পলিশ বারবার তুলে নতুন নেইল পলিশ লাগানোর। এ তোলার কাজে যা ব্যবহার করা হয় তাতে থাকে অ্যাসিটোন। উপর্যুপরি অ্যাসিটোন দ্রবণ ব্যবহারে নখের ক্ষতি হতে পারে।

চুল পাকলে অনেকে কলপ ব্যবহার করে থাকেন। চুলের কলপে থাকে প্যারাফিনাইল ডাইঅ্যামাইন। এজন্য কলপ ব্যবহারের পরপরই মাথায়, গোঁফ বা দাড়িতে অ্যালার্জির সৃষ্টি হতে পারে। এ ধরনের কলপ ব্যবহারে ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি হবে কি-না, তা কানের লতির পেছনে ২৪ ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে পরখ করতে পারেন। উন্নত দেশের মেয়েরা মাথার চুলের রং সাদা করতে পছন্দ করে। চুলের রং সাদা করার কাজে ব্যবহূত কেমিক্যাল যেমন—পারসাইড ও অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয়, তা অনেক ক্ষেত্রে উত্তেজনাজনিত প্রদাহ বা অ্যালার্জির সৃষ্টি করে থাকে।

চুল কুঁচকানো বা সোজা করা এখন বেশ জনপ্রিয়। ফ্যাশনের জন্য যেসব জিনিস ব্যবহার করা হয় তা থেকে সাধারণত কোনো প্রদাহ বা অ্যালার্জির সৃষ্টি হয় না বটে, কিন্তু এর ফলে চুল ভঙ্গুর হয়ে পড়তে পারে। চুলের জন্য বিভিন্ন স্প্রে আমরা ব্যবহার করে থাকি। এ স্প্রেতে থাকে ল্যানোলিন, যা অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।

বাজারে আবার বিভিন্ন হেয়ার লোশন বা টনিকও পাওয়া যায়। এসব সিনকোনার টিংচার থেকে অ্যালার্জি সৃষ্টি হতে পারে। আবার সুগন্ধি পদার্থ ব্যবহারের অভ্যাস আমাদের অনেকেরই। হেয়ার লোশনের সঙ্গে এই সুগন্ধি পদার্থের ব্যবহারে আপনার ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি হতে পারে। কারণ সুগন্ধি লোশনে থাকে রিসর্সিন, কুইনাইন সালফেট ইত্যাদি। লিপস্টিকে যে রঞ্জক পদার্থ থাকে তার থেকে কিন্তু অনেকের ঠোঁটে অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়ে থাকে। কারণ এতে ডাই এবং টেট্রা ব্রোমোফ্রোরোসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কাজেই যারা ঠোঁটের সমস্যায় ভোগেন তারা লক্ষ করবেন যে, লিপস্টিক ব্যবহার করার পর তা বাড়ে কি না ? রূপসজ্জার জন্য অনেকেই মাশকারা, আইশ্যাডো বা আইলাইনার ব্যবহার করে থাকেন। মনে রাখবেন এর থেকেও অ্যালার্জির সৃষ্টি হতে পারে।

কোন কসমেটিক্স থেকে অ্যালার্জি হয় :
সবার ত্বক এক রকম হয় না। অ্যালার্জি আসলে ত্বকের ধরনের উপর নির্ভর করে হতে পারে। কারো কারো ঠোঁটে লিপস্টিক দিলে হয়, আবার কারো লোশন, শ্যাম্পু, সাবান থেকেও অ্যালার্জি দেখা দেয়। খুব বেশি ফেসিয়াল করালেও অ্যালার্জি হতে পারে। কাজল, চুলের রং থেকেও অনেকের অ্যালার্জি হয়।

কীভাবে বুঝবেন অ্যালার্জি হয়েছে :
ত্বকে লালচে ভাব দেখা যায়।
ত্বকে নানান রকমের গোটা ওঠে।
ত্বক খসখসে হয়ে যায়।
অনেক সময় ত্বকে কালো কালো ছোপ দাগ পড়ে।
মাথায় হলে চুলের গোড়া ভীষণ চুলকায় ও কপালের চারপাশ ফুলে ওঠে।

এর থেকে প্রতিকার পেতে হলে কী করবেন :
কসমেটিক্স কেনার আগে ভালো করে তার মেয়াদের তারিখ দেখে নিন।
সব সময় ভালো কোম্পানির পণ্য কেনার চেষ্টা করুন।
কাজলে অ্যালার্জি হলে, কাজল দেওয়ার সময় খেয়াল রাখুন তা যেন চোখের মণির থেকে বেশ দূরে দেওয়া হয়। তাহলে আর এই সমস্যা নাও হতে পারে।
যাদের ত্বক সেনসিটিভ তারা হালকা রং এবং হালকা সুগন্ধিযুক্ত পণ্য ব্যবহার করুন।
খুব বেশিক্ষণ মেকআপ করে থাকবেন না।
যে কসমেটিক্সে সমস্যা হচ্ছে বলে মনে করবেন, তার ব্যবহার সাথে সাথে বন্ধ করে দিন।
অনেক দিন ধরে ঘরে রাখা কোনো কসমেটিক্স ব্যবহার না করাই ভালো।
ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখবেন।

ঘরেই তৈরি করুন টুথপেষ্ট Make the toothpaste at home

মাজন, চুলের রঙ কিংবা লিপস্টিক। এসব কিনতে আমরা মাসে-মাসে কতো টাকা গচ্চা দিই? কোনো হিসাব আছে? নেই, তাই তো? আবার দেখা যায় অনেকে দোকান থেকে টুথপেস্ট কিনেও মনের মতো ঝকঝকে দাঁত পান না৷ ব্র্যাণ্ডের পর ব্র্যাণ্ড পাল্টেও মেটে না সমস্যা৷

এবার নিজে বাড়িতেই তৈরি করুন দাঁতের মাজন৷ আপনার দাঁতের উজ্জলতা আর হাসি থেকে চোখ ফেরাতে পারবেন না কেউ৷ শুধু মাজনই নয়। লিপস্টিক কিংবা হেয়ার ডাই সব কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায়। তাহলে আর গুচ্ছের টাকা খরচ করে বাজারের কেমিক্যাল কিনে কিনে চুল-ত্বকের বারোটা বাজাতে হবে না। দেখে নেওয়া যাক সেই সহজ পদ্ধতিগুলো।


দাঁতের মাজন তৈরির উপায় :
উপকরণ:
এক চা চামচ বেকিং সোডা।
আধ চা চামচ বিট লবণ।
এক ফোঁটা লবঙ্গ তেল।
কয়েক ফোঁটা পানি৷

প্রণালি:
উপকরণগুলোকে একটি পাত্রে নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা পানি দিয়ে একটি থকথকে পেস্ট তৈরি করে নিন৷ এর পর আঙুল বা ব্রাশ দিয়ে দাঁতে মাজুন৷ তারপরে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন৷ আপনার দাঁত চকচকে হবেই৷

ঘরেই তৈরি করুন হেয়ার ডাই How to make hair dye


মাজন, চুলের রঙ কিংবা লিপস্টিক। এসব কিনতে আমরা মাসে-মাসে কতো টাকা গচ্চা দিই? কোনো হিসাব আছে? নেই, তাই তো? আবার দেখা যায় অনেকে দোকান থেকে টুথপেস্ট কিনেও মনের মতো ঝকঝকে দাঁত পান না৷ ব্র্যাণ্ডের পর ব্র্যাণ্ড পাল্টেও মেটে না সমস্যা৷

এবার নিজে বাড়িতেই তৈরি করুন দাঁতের মাজন৷ আপনার দাঁতের উজ্জলতা আর হাসি থেকে চোখ ফেরাতে পারবেন না কেউ৷ শুধু মাজনই নয়। লিপস্টিক কিংবা হেয়ার ডাই সব কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায়। তাহলে আর গুচ্ছের টাকা খরচ করে বাজারের কেমিক্যাল কিনে কিনে চুল-ত্বকের বারোটা বাজাতে হবে না। দেখে নেওয়া যাক সেই সহজ পদ্ধতিগুলো।

উপকরণ:
কালো ওয়ালনাট পাউডার ১/৪ কাপ
তিন কাপ পানি
চা পাতা ভরা দু’-তিনটি টি ব্যাগ।
একটি চা পাতা ছাড়া টি ব্যাগ৷

প্রণালী: একটি পাত্রে পানি নিন৷ এবার ফাঁকা টি ব্যাগে কালো ওয়ালনাট পাউডার নিয়ে ছ’ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রেখে দিন৷ এবার ওই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন৷ প্রতিদিন এইভাবে চুল ধুলে আপনার পাকা চুল প্রায় অদৃশ্য হয়ে যাবে৷ আপনি আরো কালো চুলের জন্য টি ব্যাগের লিকার পাতাও ব্যবহার করতে পারেন৷

ঘরেই তৈরি করুন মাজন থেকে লিপস্টিক Make lipstick at home


মাজন, চুলের রঙ কিংবা লিপস্টিক। এসব কিনতে আমরা মাসে-মাসে কতো টাকা গচ্চা দিই? কোনো হিসাব আছে? নেই, তাই তো? আবার দেখা যায় অনেকে দোকান থেকে টুথপেস্ট কিনেও মনের মতো ঝকঝকে দাঁত পান না৷ ব্র্যাণ্ডের পর ব্র্যাণ্ড পাল্টেও মেটে না সমস্যা৷

এবার নিজে বাড়িতেই তৈরি করুন দাঁতের মাজন৷ আপনার দাঁতের উজ্জলতা আর হাসি থেকে চোখ ফেরাতে পারবেন না কেউ৷ শুধু মাজনই নয়। লিপস্টিক কিংবা হেয়ার ডাই সব কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায়। তাহলে আর গুচ্ছের টাকা খরচ করে বাজারের কেমিক্যাল কিনে কিনে চুল-ত্বকের বারোটা বাজাতে হবে না। দেখে নেওয়া যাক সেই সহজ পদ্ধতিগুলো।


লিপস্টিক তৈরির উপায়:
উপকরণ:
এক চা চামচ ওয়্যাক্স পাউডার।
এক চা চামচ হলুদ মাখন অথবা সাদা মাখন।
এক চা চামচ নারকেল তেল।

প্রনালি: 
একটি পাত্রে পানি দিয়ে তাতে ওয়্যাক্স পাউডার, মাখন এবং নারকেল তেল দিয়ে অল্প আঁচে গরম করে নিন৷ এবার লাল রঙের লিপস্টিকের জন্য তাতে দিন ১/৮ চা চামচ বীট পাউডার অথবা এক ফোঁটা ফুড কালার মিশিয়ে দিন৷ এরপর এতে অল্প চন্দন গুঁড়ো এবং পুদিনা পাতা বেটে দিয়ে দিন৷ এবার একটি প্লেটের উপরে ড্রপার দিয়ে একফোঁটার উপরে আরেক ফোঁটা করে ওই গরম থকথকে মিশ্রণটি দিন৷ এবার তা ফ্রিজে অন্তত আধ ঘণ্টার জন্য রেখে দিন৷ তাহলেই তৈরি আপনার হোম মেড রেড হট লিপস্টিক৷

অন্তর্বাস ব্যবহারে ১০ সতর্কতা How to use lingerie in right way


অন্তর্বাস আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়, তার পরেও এ বিষয়ে আমারা কথা বা আলোচনা করতে লজ্জা পাই। অন্তর্বাস ব্যবহারের ব্যাপারে লজ্জায় লাল না হয়ে কিছু কিছু ব্যাপার জেনে রাখা ভালো। দৈনন্দিন জীবনে যা ছাড়া নারী বা পুরুষ সবাই অসস্তিতে পরতে হয় তা হলো পুরুষের স্যান্ডো গেঞ্জি-বক্সার, অথবা নারীর অন্তর্বাস। তালিকায় পড়ে সবকিছুই। পুরুষেরা তাদের পরিধেয় অন্তর্বাসের ব্যাপারে স্বাস্থ্য সচেতন হলেও নারীদের মাঝে এই সচেতনতা খুব কম। স্বাস্থ্যের চাইতে নারীরা সৌন্দর্য আর ফ্যাশনকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন যা একেবারেই অনুচিত। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বিপদ।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় জাপানে যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে তড়িঘড়ি প্রায় ২২ হাজার অন্তর্বাস রাতারাতি বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। চলুন, জেনে নেয়া যাক নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই অন্তর্বাস ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম, যা নিঃসন্দেহে অনেকেই জানেন না।

১. সিনথেটিক কাপড়ের অন্তর্বাস পরিহার করুন। সুতি বা প্রাকৃতিক তন্ত হতে তৈরি এমন অন্তর্বাস বেছে নিন। অন্তর্বাস কেনার পর ভেতরের ট্যাগগুলো খুলে ফেলে দিন। এতে অনেক আরামদায়ক ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
২. অন্তর্বাস যেটাই হোক না কেনো, সেটা ব্যবহার করবেন সঠিক সাইজের। এমনকি গেঞ্জিটাও খুব বেশি ঢিলেঢালা বা টাইট ব্যবহার করবেন না। ভুল মাপের অন্তর্বাস পরিধান করলে যে উদ্দেশ্য আপনি অন্তর্বাস পরেন, সেটিই পূরণ হয় না। গোপন অঙ্গ প্রয়োজনীয় সাপোর্ট পায় বেশি ঢিলেঢালা হলে এবং বেশি টাইট হলে অধিক চাপে দেহের ক্ষতি হয়। এছাড়া এর ফলে আপনার ওজনটাও বেশি দেখা যায়।
৩. অন্তর্বাসের ফিতা বা অন্য কোন অংশ যদি শরীরের সাথে একদম চেপে বসে থাকে বা ব্যথা পেতে থাকেন আপনি, তবে বুঝবেন অন্তর্বাসটি ভুল সাইজের। সেক্ষেত্রে সেটা ব্যবহার না করাই উত্তম।
৪. অন্তর্বাসের ক্ষেত্রে ফেব্রিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভুল ফেব্রিকে আপনি যে কেবল অস্বস্তি বোধ করবেন তাই নয়, এর ফলে আপনার ত্বকেও দেখা দেবে নানান রকম সমস্যা। খুব বেশি মোটা কাপড়ের অন্তর্বাস পরিধান করবেন না। এতে পোশাকটি ভিজে গায়ের সাথে লেপটে থাকবে এবং ব্যাকটেরিয়া জন্মে ত্বকের নানান রকম অসুখে আক্রান্ত হবেন আপনি। খুব বেশি পাতলা অন্তর্বাসও পরিধান করবেন না।
৫. ফ্যাশনের চাইতে আরামটাকেই গুরুত্ব দিন অন্তর্বাস বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে। এই পোশাকটি আপনি বলতে গেলে সারাদিনই পরিধান করেন, তাই এটা আরামদায়ক হওয়া বাঞ্ছনীয়। যেসব দোকানে অন্তর্বাস পরিধান করে কেনার সুযোগ আছে, সেখান থেকে কিনলেই ভালো। তবে হাইজিন ইস্যুতে বেশিরভাগ দোকানেই এই সুযোগটা আপনি পাবেন না। সেক্ষেত্রে আগে কম কিনে দেখুন পোশাকটি আরামদায়ক কিনা।
৬. অন্তর্বাস প্রতিদিন বদলে ফেলুন ও ধুয়ে ফেলুন। যারা খুব বেশি ঘামেন তারা দিনে দুবার বদল করুন। একই অন্তর্বাস পর পর দুদিন পরিধান করবেন না।
৭. রাতের বেলা অন্তর্বাস পড়ে ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দিন। এতে শরীরের তেমন কোনো উপকার হয় না। বরং অন্তর্বাস ছাড়া রাতে ঘুমালে শরীর আরাম পায়।
৮. যত বড় স্টোর থেকেই অন্তর্বাস কিনুন না কেন, কখনোই না ধুয়ে পরিধান করবেন না। অবশ্যই দোকান থেকে কেনার পর ভালো করে ধুয়ে তারপর পরিধান করুন।
৯. একই অন্তর্বাস বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন না। একটি অন্তর্বাস ৬ মাসের বেশি ব্যবহার না করাই উত্তম।
১০. প্রতিবার অন্তর্বাস ধোয়ার পর জীবাণুনাশক দ্রব্যে ভিজিয়ে পরিষ্কার করে নিন। ডেটল বা অন্য যে কোন জীবাণুনাশক পণ্য ব্যবহার করুন।

কিনতে ও বিশদ জানতে ক্লিক করুন -
লিংক ১
লিংক ২